যারা জেমারির রঞ্জন কে ভালবাসতেন তাদের মনে এই ছবিগুলি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
@BHARAT TV.NEWS: যারা #জেমারির রঞ্জন কে ভালবাসতেন তাদের মনে এই ছবিগুলি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রথমে আট বছরের মেয়ের পথ দুর্ঘটনায় মৃত্য। মেয়ের মৃত্যুর শোকে তার মাস খানেকের পরেই মায়ের আত্মহত্যা। তার পর মেয়ে আর স্ত্রী কে অকালে হারিয়ে বাবাও বেছেনিলেন আত্মহত্যার পথ। এভাবেই হাসতে-খেলতে এক ছোট্ট আর সুখী পরিবারটি শেষ হয়ে গেলো। এই মর্মান্তিক ঘটনাটির ফলে জেমারী এলাকায় এখনও রয়েছে চর্চা আর শোকের ছায়া। জেমারির পরিচিত নাম রঞ্জন মন্ডল আনুমানিক বয়স 42 আর আমাদের মধ্যে নেই। সালানপুর ব্লকের জেমারির প্রয়াত পরেশ মন্ডলের বড় ছেলে ছিলেন রঞ্জন মন্ডল।

এক দশক আগে রঞ্জন নিজের স্বপন পূরণ করার জন্য পাড়ি দিয়েছিলেন কলকাতায়। সেখানে তার স্ত্রী সরকারি শিক্ষকা পদে চাকরি পেয়েছিলেন । নিজেও বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতেন। হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ায় গড়ে তুলেছিলেন মূল্যবান নিজের স্বপ্নের বাড়ি। এই বাড়িতেই থাকতেন তার মেয়ে এবং স্ত্রী। ঈশ্বরের কৃপায় সুখের সংসারটি বেশ চলছিল। মাঝে মধ্যে তারা সপরিবার কলকাতা থেকে জেমারী উৎসবে আসতেন আর রঞ্জন নিজের বন্ধুদের সাথে দেখা করতেন এবং কলকাতার কথা বলতেন। কিন্তু 2022 সালটি তার পরিবারের জন্য অকাল মৃত্য প্রমাণিত হলো। ৫ দিন আগে রঞ্জন কলকাতা থেকে জেমারী এসেছিলেন তার স্ত্রীর মৃতদেহর পৌরোলৌকিক কাজকর্মের জন্য। জেমারির আমঝরিয়া মুক্তিধামে তার স্ত্রীর শেষ কৃত্য হওয়ার পর তিনিও পরের দিন সুসাইড করে নিজের জীবন শেষ করলেন। জানা গেছে সম্ভবত দুমাস আগে কলকাতায় এক পথ দুর্ঘটনায় আট বছর বয়সী রঞ্জনের একমাত্র কন্যা টুকুর মৃত্য হয়ে গিয়েছিলো। একমাত্র্র সন্তানের আকস্মিক মৃত্যুর পর তার স্ত্রী ভেঙে পড়েছিলেন। নিজেকে সামলাতে না পেরে মাস খানেক পর স্ত্রীও কলকাতায় নিজের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন। ওখান থেকে জিমারি তার স্ত্রীর মৃত শরীর এম্বুলেন্স এ নিয়ে আসা হয়। রঞ্জনের স্ত্রীর শেষ দাহকার্য আমঝরিয়া মূক্তিধাম শ্মশানে সম্পন্ন হয়। এরপর ৩১ জুলাই রাত্রিবেলায় জেমারী নিজের বাসাতেই নিজেও সুসাইড করেন।
সুখী এবং শিক্ষিত পরিবারের এই মর্মান্তিক মৃত্যতে তার বন্ধু বান্ধবরা হতবাক। তারা একটা হ্যাপি ফ্যামিলি ছিল যার কিছু ছবি আমাদের এই ভিডিওতে অবশ্যই দেখবেন। যারা রঞ্জন কে ভালবাসতেন তাদের মনে এই ছবিগুলি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।







