
জেমারিতে মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনায় মৃত ১, 2 ঘন্টা রাস্তা অবরোধ
সালানপুর থেকে ওম শর্মার রিপোর্ট : আবারও এক যুবকের পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর ঘটনা রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো জেমারী এলাকাকে। অন্যদিকে জেমারী ডাঙাপাড়া এলাকার 34 বছর বয়সী সঞ্জয় বাউরিও গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎিসাধীন রয়েছেন আসানসোল জেলা হাসপাতালে। জানা গেছে সঞ্জয় শনিবার নিজের বাইকে দুপুরে জেমারির মুচিপাড়ার বাসিন্দা তারক বাউরির সাথে গিয়েছিলেন রামডি। সেখানেই আসানসোলদিক থেকে আসা তীব্ৰ গতিতে থাকা এক মিনি বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সঞ্জয়ের বাইকটিকে ধাক্কা মারে। মিনি বাসের চাকার নিচে বাইকটি চুরমার হয়ে যায়। গুরুতর জখম হন দুই বন্ধু। সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় জেলা হাসপাতাল। অন্যদিকে এর প্রতিবাদে রাস্তা জাম করেন গ্রামের মানুষ। পুলিশ প্রথমে জানায় তাদের অবস্থা ঠিক আছে। তাই রাস্তা অবরোধ তুলতে অনুরোধ জানায়। পরে হাসপাতালে তারক মারা যায়। মৃত পরিবারের লোকেরা উচিত ক্ষতিপূরণের দাবি জানায় সালানপুর পুলিশের কাছে। সঞ্জয়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য ভালো উন্নত বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি করছেন তার পরিবারের লোকেরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর মেন্ রাস্তার উপর রামডি সংলগ্ন এলাকায় নিয়ন্ত্রণহীন একটি মিনি বাস বাইকটিকে ধাক্কা মারে। ঘটনার জেরে আসানসোল – চিত্তরঞ্জন রোড প্রায় ১ ঘন্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সালানপুর থানার পুলিশ দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত দুটি গাড়ি পুলিশ সড়ক পথ থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর রোডে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। প্রাথমিক অনুমান, মিনিবাসের রেষারেষি এবং তীব্ৰ গতি থাকায় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ গড়ির চালককে আটক করেছে ।
জানা যাই শনিবার রাতে সালানপুর পুলিশ তারক বাউরির পরিবারকে কাজকর্মের জন্য ২৫ হাজার টাকা এবং সঞ্জয়ের পরিবারকের চিকিৎসার জন্য ২৫ হাজার টাকা দেন। সাথে আড়াই লক্ষ টাকা মৃত তারকের পরিবারকে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। ইন্সুরেন্সের টাকাও পাওয়ার জন্য ক্লেম করা হবে। সঞ্জয়ের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানা গেছে।







