মোদি’জী করোনা পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে গরিব মানুষের জন্য ৮ মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন পাঠিয়েছেন
KOLKATA: মেদিনীপুরের (পশ্চিমবঙ্গ) বেলিজুড়ি গ্রামে ঝুনু সিং এবং সনাতন সিং মহাশয়ের গৃহে মধ্যাহ্নভোজনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহ. আজকের বিশাল জনসমাগম এবং প্রচুর মানুষের ভীড় দেখে অমিত শাহ বলেন এটা স্পষ্ট যে, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে দুশোর অধিক আসন পেয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে সরকার গঠন করবে।
তিনি বলেন যে বাংলায় যারা বিজেপিতে যোগদান করছে, তারা’মা-মাটি- মানুষ’স্লোগানে বিশ্বাসী ছিল। কিন্তু তাকে তোলাবাজ,স্বজনপোষণ ও ভাইপোবাজে রূপান্তর করেছে। শ্রী শাহ আরও বলেন যে দিদি,এতো সবে শুরু, নির্বাচন আসতেই আপনি একা হয়ে যাবেন।আমি পশ্চিমবঙ্গে যে সুনামি লক্ষ করছি, তা হয়তো আপনি কল্পনাও করতে পারেননি। মমতা দিদি দশ কোটি বাঙালির ভবিষ্যত নিয়ে ভাবেন না, কোটি কোটি যুবকের ভবিষ্যতও তিনি দেখতে পান না । তাঁর কাছে তার ভাইপোই সব কিছু, তিনি সব সময় ভাবেন তাঁর ভাইপোকে কিভাবে মুখ্যমন্ত্রী বানাবেন। আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যে সহায়তা মোদি সরকার পাঠিয়েছিল সেটাও লুঠ করে নিয়েছে। আরো বলেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি’জী করোনা পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে গরিব মানুষের জন্য ৮ মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন পাঠিয়েছেন, তাও তৃণমূলের লোকেরা লুঠ করে নিয়েছে। আমাদের পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাজী বঙ্গ সফরে এলে তার গাড়ির উপর হামলা করা হয়। এসবের জন্য আমরা ভয় পেয়ে যাবো?
৩০০’র অধিক কার্যকর্তার প্রাণ গেছে। কিন্তু যত হিংসা করবেন বিজেপির কার্যকর্তা তত বেশি উৎসাহের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। বলেন যে আমি পশ্চিমবঙ্গের জনতাকে মাত্র এটুকুই বলতে চাই যে পশ্চিমবঙ্গের কৃষক এবং শ্রমিকের সমস্যা সমাধানই হলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার বানানো।
সভাতে আরও বলেন যে রাজ্যে প্রতিদিন ঘটা বোমা বিস্ফোরণের থেকে নিস্তার বিজেপি সরকারই দিতে পারে। উনি আরো বলতে থাকেন যে মেদিনীপুরের (পশ্চিমবঙ্গ) বেলিজুড়ি গ্রামে শ্রী ঝুনু সিং এবং শ্রী সনাতন সিং মহাশয়ের গৃহে সুস্বাদু মধ্যাহ্নভোজনের ব্যবস্থা ছিল। তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে এইরকম গভীর ভালোবাসা, স্নেহ আর উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে আপ্লুত। এত সুন্দর আতিথেয়তার জন্য আমি সর্বদাই তাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বললেন?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাদের দল ছাড়ার বিষয়ে কোনও আশ্চর্যতা প্রকাশ করেননি। শুক্রবার দলটির সিনিয়র নেতাদের সাথে বৈঠকে তিনি বলেছিলেন, পলাতকরা আমাদের টিএমসি দলকে ছেড়ে দিলে আমাদের দল আরও শক্তিশালী হবে । তিনি বলেছিলেন যে, যারা দল ত্যাগ করে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, আমরা তাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং তাদের স্মরণ করিয়ে দেব যে বাংলার মানুষ প্রতারণাপূর্ণদের ঘৃণা করে।
