যিঁনি বিপদ সমূহ নাশ করেন তিনিই বিপদতারিনী
ওম প্রকাশ শর্মা , রূপনারায়ণপুর। আজ শনিবার বাংলার ঘরে ঘরে মা বিপদতারিনী ব্রত পুজো অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো। সালানপুর ব্লকের হরিসাডি গ্রামের কালীমন্দির এবং শিবমন্দির প্রাঙ্গনে বিপদতারিনী ব্রত পুজো অনুষ্ঠিত হয়। প্রচুর মানুষের ঢল দেখতে পাওয়া যায় । পূজো থেকে শুরু করে ব্রত পাঠ পুষ্পাঞ্জলি ও সিন্দুরখেলা এবংলাল ডুরি পরানোর বিশেষ প্রচলন পালন করা হয়। এ মন্দিরগুলি প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রী সদানন্দ ভট্টাচার্য্য এখন তার পুএগন ও বংশধরা এ পূজোকে এলাকায় প্রচলিত রেখেছেন। এদের মধ্যে এক বংশধর মিহির ভট্টাচার্য্য বলেন, আমাদের মন্দিরে প্রত্যেকদিন নিত্য পূজা চলে আসছে বহু দিন ধরে।

মন্দিরে ৫ জন করে ভক্তদের প্রবেশ করতে দিয়েছি যাতে সোশ্যাল ডিস্টেনসিং ঠিক মতো বজায় থাকে। পুজো সম্পর্কে পুরোহিত অশোক ভট্টাচার্য , মনোতোষ ভট্টাচার্য জানান যে জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাসে মঙ্গল ও শণিবারে মায়ের পূজো হয় । যেখানে ১৩ প্রকার ফল, পুস্প, মিষ্টি, পান সুপারী অর্পণ করা হয়। এদিন আমরা সবাই মায়ের চরণে প্রনাম জানাই যাতে মা যেনো সকলের সর্ব প্রকার বিপদনাশ করেন। যিঁনি সমগ্র বিপদ থেকে রক্ষা করেন তিনিই বিপদতারিনী ।

যিঁনি দুর্গা তিনিই বিপদতারিনী আবার তিনিই জয়দুর্গা । মনোতোষ ভট্টাচার্য আরও জানান যে একটি পৌরাণিক গাঁথানুসারে একদা ভগবান মহাদেব রহস্যচ্ছলে দেবী পার্বতীকে ‘কালী’ বলে উপহাস করেন। এতে দেবী ক্রুদ্ধ হয়ে তপস্যার মাধ্যমে নিজের “কৃষ্ণবর্ণা” রূপ পরিত্যাগ করলেন । সেই কৃষ্ণবর্ণা স্বরূপ দেবীই হলেন , দেবীর পার্বতীর অঙ্গ থেকে সৃষ্টা জয়দুর্গা বা কৌষিকীদেবী, বিপদতারিনীদুর্গা । উত্তর ভারতে অষ্টাদশ রূপের ধ্যান ও পূজা হয়, কোথাও দশভুজা রূপে পূজা হয়, কোথাও আবার চতুর্ভুজা স্বর্ণ বর্ণা আবার কোথাও কৃষ্ণ বর্ণা রূপে পূজিতা হয় । ।















